গর্ভবতী নারীদের ৯ মাসের শারীরিক পরিবর্তন

একজন নারী যখন গর্ভবতী হন তখন তার দেহে নানান পরিবর্তন ঘটে সন্তান গর্ভে আসার পর ১ম মাস থেকে ৯ম মাস পর্যন্ত বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়।

আমি আজ লিখবো ১ম থেকে ৯ম মাস মাস পর্যন্ত কি কি পরিবর্তন হয় সচরাচর।

প্রথম মাসঃ

  • ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়।
  • স্তন ভারি বোধ হয়, একটু অস্বস্তি ও ব্যাথাও থাকতে পারে।
  • ঘন ঘন বাথ্রুমে যাবার ইচ্ছে জাগবে।
  • মুখে একটু অরুচিভাব হয়।
  • ক্লান্তি বা নিদ্রাহীনতাও হতে পারে।

দ্বিতীয় মাসঃ

  • স্তন স্ফীত হয়ে উঠবে এবং শিরা দেখা যাবে।
  • বারবার বাথ্রুমে যাওয়া।
  • গা গুলানো ভাব এবং বমি হওয়া।
  • কোনো কোনো খাবারে অনিচ্ছা।

তৃতীয় মাসঃ

  • স্তনবৃন্ত ও এর চারপাশ গাড় খয়েরী হয়ে উঠে।
  • স্তনবৃন্তের চারপাশে ছোট ছোট দানাও দেখা যায়।
  • বমি ভাবটা থেকেই যায়।
  • ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে।
  • কোমর ভারি হয়ে আসে।
  • প্রশান্তি অনুভব হতে পারে।
  • হয়তোবা একটু বস্লেই ঘুম এসে যেতে পারে।

চতুর্থ মাসঃ

  • গা গুলানো ভাব এবং বমি সাধারণত বন্ধ হয়ে যায়।
  • কার কার ক্ষেত্রে এই মাসেও কিছুটা বমি হতে পারে।
  • সামান্য পেট বড় হতে থাকে, এবং এই কারণে অন্তস্বত্ত্বা অবস্থা সহজেই বোঝা যায়।
  • প্রথমবারের মত গর্ভের সন্তানের নড়াচড়া অনুভুত হতে পারে। তবে প্রথমবার বলে অনেকে ব্যাপারটি বুঝতে কিছু দেরীও হতে পারে।
  • স্তনের স্ফীতভাবটা থাকবে।
  • জরায়ুর সংকোচন বোধ হতে পারে।

পঞ্চম মাসঃ

  • স্তন থেকে হলুদ রঙের বা স্বচ্ছ রস নিঃসৃত হতে পারে।
  • শরীরের বিভিন্ন অংশে দাগ দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে তলপেটে।
  • মুখের ত্বকে ছোপ ছোপ ভাব দেখা দিতে পারে।
  • চুল পড়া বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • অনেকের অবশ্য এই সময়ে চুল বৃদ্ধি ও পেতে পারে।

ষষ্ঠ মাসঃ

  • পেটের ত্বক পাতলা হয়ে যায়, এবং স্ট্রেচ – মার্কস বা ফাটা ফাটা দেখা যায়।
  • ক্রমশ ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে।
  • কোনো বিশেষ খাবারের প্রতি আকর্ষন বাড়ে।

সপ্তম মাসঃ

  • বাচ্চা খুব নড়াচড়া করবে , সেটা গর্ভবতী যেমন বুঝতে পারবে তেমনি বাইরে থেকেও দেখা যাবে বা অনুভব করা যাবে।
  • অনেক সময় খাবার হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • কোমরে এবং পিঠে ব্যাথা হয়।

অষ্টম মাসঃ

  • নাভি স্ফীত পেটের সাথে সমান্তরাল হয়ে যায় অথবা অনেক সময় বেরিয়েও আসতে পারে।
  • গোড়ালির দিক্টা দিনের বেলায় ফুলে যেতে পারে। রাতে শোবার পর আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।
  • বাচ্চার কারণে পাঁজরে চাপ পরবে এবং ব্যাথাও হতে পারে।
  • যথেষ্ট পরিমান শাকসবজি এবং পানি না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
  • দিনের শেষে ক্লান্তিবোধ হতে পারে।

নবম মাসঃ

  • স্তনের স্ফীতি আরো বাড়বে।
  • স্তন থেকে রস নিঃসৃত হতে পারে। জরায়ুর সংকোচন ঘন ঘন হতে থাকবে, যা গর্ভবতীরা তলপেট বা কোমর ব্যাথা হিসেবে চিকিৎসকের কাছে উপস্থাপন করতে পারে।

এরপর ব্যাথা বা গর্ভ বেদনা অনুভূত হলে । যোনিপথে পানিজাতীয় তরল বা রক্ত দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে হবে।

Leave a Comment

Item added to cart.
0 items - ৳ 0.00