শাড়ির সাথে চুলের স্টাইল

জ্যৈষ্ঠের প্রখর রোদ, হালকা বাতাস থাকলেও গরমে অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি। এমন গরমে দিনে দুপুরে কিংবা রাতে বাইরে বের হতে হয় কাজের তাগিদে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে অথবা প্রিয়জনের সাথে বাইরে যেতে। এমন আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে নির্বাচন করতে হয় পোশাক।
কিছু কিছু অনুষ্ঠানে পোশাক হিসেবে শাড়ির বিকল্প থাকে না।শাড়ির সাথে বিপাকে পরতে হয় কিভাবে চুল বাধবো। নানাভাবে চুল বাঁধা যায়।
কিন্তু এই গরমে চুলের সাজগোজে আপনাকে হতে হবে সচেতন। গরম এড়িয়ে শাড়ির সাথে বিভিন্ন স্টাইলে চুল বাঁধতে পারেন।

আমি আমার পছন্দের কয়েকটি চুলের সাজ এর কথা বলব আজ।
১) পেচানো খোপাঃ
বড় চুল যাদের তাদের অনেক অস্বস্তিতে পরতে হয় কিভাবে চুল বাধবেন এ নিয়ে। সবচেয়ে সুবিধাজনক আর আরামদায়ক হচ্ছে, খোপা করা,
আর এটি যদি পেচানো খোপা হয় তাহলে ভীষন ভালো দেখায়।
এটি যেভাবে করবেনঃ মাথার পেছনের চুল্গুলোতে দুটো পনিটেইল করুণ। তারপর প্রতিটা পনিটেইলকে দুভাগ করুন, করে দুটো ভাগ পেঁচান একটা আরেকটার সঙ্গে। শেষে রবার ব্যান্ড লাগিয়ে দিন।
তারপর ওই দুটো অংশ নিয়ে একটি আরেকটির সঙ্গে পেঁচিয়ে গোল করে লাগান। হেয়ার পিন দিয়ে শক্ত করে লাগিয়ে দিন। ধারে একপাশে একটা ফুলও লাগাতে পারেন ভালো লাগবে।

২) ফ্লোরাল খোপা, মাথার পিছনে নিচু করে একটি খোপা করুন, খোপায় গুজে দিলেন ফুল।

৩)সাম্নে থেকে পিছনে পর্যন্ত বুনিনুঃ
এই ধরনের সাজে সাম্নের চুল গুলোকে দু ভাবে দুট বেনী করে পিছনের দকে নিয়ে আস্তে হবে, পরে পিছনে একটা মোটা বেণির সাথে সাম্নের থেকে আসা বেনীগুলো মিলিয়ে দিন। দেখতে ভীষন ভালো লাগবে।

৪) ফ্রেঞ্চ বেণিঃ শাড়ির সঙ্গে এরকম একটি বেনি দারুন লাগে। এরজন্য মাথার সামনের কিছু চুলে ডানদিকে সিঁথি কেটে নিন। এবার মাথার সামনের ডানদিকের অংশের চুল নিয়ে বিনুনি করতে শুরু করুণ। এবার মাথার পেছনের অংশের চুল নিয়ে বিনুনি করুণ। মাথার সামনের দিকের বিনুনিটা ওই বিনুনির সঙ্গে জুড়ে দিন। বিনুনি যেন একসাইডে থাকে। এবার বিনুনিটা একটু আলগা করে ফুলিয়ে দিন ভালো লাগবে।

৫) ফিশ টেইল বেণিঃ এই স্টাইল টি শাড়ির সাথে খুব ই সুন্দর ভাবে মানিয়ে যায়, অত্যন্ত আকর্ষনিয় লাগে এতে।
আপনি চাইলে একটু মেসি লুক রাখতে পারেন, নতুবা একেবারে টিপ্টপ ও থাকতে পারেন এটাতে।

৬)লো টুইস্টেড বানঃ
এই ধরনের খোপা সাধারন খোপা থেকেও অনেক নিচের দিকে হয়, অর্থাৎ ঘাড়ের উপরে ঢিলেঢালা ভাবে বাধা হয়।

৭) প্লেইট উইথ ফ্লাওয়ারঃ
যাদের চুল লম্বা তারা এই স্টাইল টি করতে পারেন। লম্বা বেণি করে, উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ফুল গেথে দিন।

৮ ) সাইড সোয়েপ্ট কার্লসঃ
যাদের চুল খুব বড় না, আবার একেবারে ছোট ও না, তাদের জন্য একেবারে পারফেক্ট এই স্টাইল্টি। এই স্টাইল্টীর জন্য প্রথমে একটি হেয়ার কার্লার দিয়ে চুল কার্ল করে নিতে হবে আগে।
সম্পুর্ন চুল কার্ল না করলেও চুলের নিচের দিকে কার্ল করে নিন। তারপর এক পাশে কোকড়ানো চুল নিয়ে অন্য পাশে, হেয়ার ক্লিপ বা পিঙ্ক আটকে দিন।
এতে চুলের স্টাইল নিরাপদে থাকবে।

৯ ) সাইড ব্রেইডঃ এক পাশে বেণি বরাবরি অনেক জনপ্রিয় ছিল, আজো শাড়ির সাথে এটি বেশ মানিয়ে যায়। এক পাশের বেণীর জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের বেণির স্টাইল বেছে নিতে পারেন যেমন ফিশ টেইল , ফেঞ্চ বা নরমাল বিনুনিও।

১০) লুজ ওয়েভস / কার্লসঃ
কার্ল বা ঢেউ খেলানো চুল সব সময়ই একটা আলাদা লুক দেয়, একটা বিশেষ ভাব দেয়। একটা বাউন্সি লুক আনার জন্য এই ধরনের স্টাইলের জুরি নেই। যাদের চুল পাতলা তারা এই হেয়ার স্টাইল্টি করতে পারেন।
তবে তার জন্য হেয়ার কার্লার দিয়ে চুল কার্ল করে নিতে হবে আগে।
আর যাদের চুল স্বভাবিক ভাবেই কার্লি, তারা জাস্ট হেয়ার স্প্রে করে চুল টা সেট করে নিন।

১১) হাফ পিন আপঃ সবথেকে সহজ আর তাড়াতাড়ি যদি কোনো হেয়ার স্টাইল চান তাদের জন্য এই স্টাইল। এর জন্য যা করতে হবে তা হল। সাম্নের অর্ধেক চুল পিন করে নিন, আর নিচের বাকি অর্ধেক চুল ছেড়ে রাখুন।

চাইলে চুল কার্ল ও করতে পারেন, যদিও সমান ভাবে সোজা চুলেই এই স্টাইল্টি বেশি ভালো লাগে।

১২) হাফ পনিটেইলঃ শাড়ির সঙ্গে খুব স্টাইলিশ আর স্মার্ট লুক আনতে চাইলে এই লুক্টি আনতে পারেন। সব চুল টেনে নিয়ে একটি পনিটেইল করে নিন।
চাইলে সাম্নের চুল একটু পাফ করে নিতে পারেন।
এই লুক্টি শাড়ির লুক কে আরো গর্জিয়াস করে তুলে।


Leave a Comment

Item added to cart.
0 items - ৳ 0.00