উৎসব পার্বনে এখন আমাদের নতুন পোশাক আশাক এর সাথে মেহেদি একটি অতি আবশ্যকীয় অনুষঙ্গে পরিনত হয়েছে। যে উৎসব ই হোক না কেনো, বিয়ে, মেহেদি সন্ধ্যা, ঈদ, পুজা এমনকি পহেলা বৈশাখ বা ভালোবাসা দিবসেও এখন হাত ভর্তি করে মেহেদি দেয়া খুব চলছে। আজকে আমি সিম্পল এবং ভারি ১০টি নকশা দেখাবো যেগুলো অনুষ্ঠান ভেদে সহজেই নকশা করে দেয়া যায়।
ব্রাইডাল মেহেদি
বিয়ের কনে মানেই হাত ভরা মেহেদি। নতুন বউ দের কনুই পর্যন্ত মেহেদি দেয়া এখন খুব চল। শুধু হাতের সামনের অংশেই নয় বরং হাতের পিঠেও করা হয় নানান রকম হাজার বুটির নকশা। হাতের তালু থেকে আঙ্গুলের অংশ সাথে কনুই পর্যন্ত কত যে নকশা করা হয়!!! বিয়ের সাজে অন্যতম আকর্ষন ই যেন ব্রাইডাল মেহেদি।


ময়ুর ডিজাইনঃ
হাতের সামনে পিছনে ময়ুরের মত করে নকশা করা হয় এই ডিজাইনে। হাতের তালুতে বা পিঠে ময়ুর যেনো পাখা মেলে থাকে এরকম ও আকা হয় অনেক সময়। এই নকশা কে কলকি নকশাও বলা হয়।
পেইসলি ডিজাইনঃ
ভাবছেন এটা আবার ক্যামন নামের ডিজাইন? এই নকশাটি আমরা প্রায় ই করে থাকি। ছোট ছোট সুক্ষ্ণ নকশা একসাথে জোড়া দিয়ে এই নকশাটি করা হয়।
ফ্লোরাল নকশাঃ
নানান ফুলের নকশায় এটি করা হয়, তাই এর নাম ফ্লোরাল ডিজাইন। আসুন দেখে নি ই কয়েকটি ফ্লোরাল ডিজাইন।


লাইনস এন্ড প্যাটার্নস ডিজাইনঃ
ফুল ,লতাপাতা না আক্তে চাইলে শুধু মাত্র লাইন টেনে বা প্যাটার্ন একেও নকশা করতে পারেন।

বর্ডার ডিজাইনঃ
খুব ভারি নকশা অনেকেই করতে চান না, হাতের বা পায়ের বর্ডারে সিম্পল ডিজাইন অনেকেই পছন্দ করেন তাদের জন্য কয়েকটি নকশা দেয়া হল।




হালকা মেহেদি ডিজাইনঃ
হাত ভর্তি করে মেহেদি দিতে না চাইলে সিম্পল নকশা করতে পারেন।




শোল্ডার মেহেদি ডিজাইন
হাত বা পায়ের সাথে সাথে অনেকেই এখন বাজুতে পিঠে , শোল্ডারেও মেহেদি দিয়ে নকশা আঁকছেন । বিশেষ করে স্লিভ্লেস বা ম্যাগি হাতায় দারুন মানিয়ে যায় এই ডিজাইন ।



অনেক ধরণের নকশা পেয়ে গেলেন তো? এবার মনের মত করে যেভাবে খুশি মেহেদি দিয়ে নিজেকে রাঙ্গিয়ে নিন।
কত ভাবে আমরা মেহেদি দিয়ে নকশা করতে পারি দেখলেন তো?
আসুন ঈদ , পুজা, বিয়ে যেকোনো অকেশনে মনের মত করে ডিজাইন করে ফেলি।