পুরুষের জুয়েলারি

ছেলেদের গয়না পরার ব্যাপারটা তেমন নতুন কিছু নয়। আগেকার আমলেও রাজদরবারে রাজারাজড়া দের গায়ে অলংকার শোভা পেত। এখনকার সময়েও অলংকার আর মেয়েদের ভূষন নয়, আধুনিক পুরুষদের মধ্যেও ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে জুয়েলারি।


ছেলেরা নিজেদের সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার ব্যাপারে এখন যথেষ্ট সচেতন। আগেকার সময়ে দেখা যেত যে পুরুষ যত ধনী , উচ্চবংশজাত, ক্ষমতাবান এবং প্রতিষ্ঠিত, তার গায়ে তত বেশি অলংকার, ব্যাপারটা ছিলো এরকম।

মুঘল সম্রাটদের কথা মনে আছে? সবাই ই গা ভর্তি গয়না পরতেন। গয়না ছিল তাদের স্বাভাবিক বেশভুষার অংগ। এরপর কোনো এক সময় সামাজিক আধিপত্য ঘোষণা করার জন্য গা ভর্তি গয়নার প্রয়োজন হলো না।



গাড়ি, বাড়ি, পোশাক , ব্যাংক , ব্যালেন্স, রাজনৈতিক ক্ষমতা এসব নিয়ে নিলো অলংকারের জায়গা। কিছু পুরুশ অবশ্য তখনো কানে দুল, ব্রেস্লেট পরতেন। তবে তাদের সংখ্যা ছিলো খুব ই কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আবারো পাল্টেছে যুগ, বদলে গিয়েছে ধ্যান ধারণা। নতুন করে ফিরে এসেছে পুরুষের গয়না। কিন্তু অন্য ভাবে। ভিন্ন বার্তা ব্যাঞ্জনা নিয়ে ।

আজকাল হর হামেশাই ছেলেদের গয়না পরতে দেখা যায়। ক্রিকেটার, ফুটবলারদের গলায়, কানে দুলে উঠে অলংকার। জুয়েলারির সঙ্গে যৌন আবেদনের ও প্রচ্ছন্ন সম্পর্ক আছে বলে ধারণা করা হয়। সুঠাম, পেশিবহুল দেহে অলংকার অনেকের কাছেই অত্যন্ত অ্যাপিলিং । স্বতন্ত্র ব্যাক্তিত্ত্ব প্রকাশ করার জন্য ও অনেকে গয়না পরেন।






সিনেমার হিরো গায়ক কেও ই এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। যেমন জাস্টিস টিম্বারলেকের কানের মতোই জনপ্রিয় তার কানের স্টাডস , আঙ্গুলের আংটি, রিস্টব্যান্ড বা কাফলিংক্স । এগুলো না থাকলে জাস্টিনের প্রতি জাস্টিস করা যায়না।

সিল্ভার রিস্টব্যান্ড আর কানের কানের স্টাড ছাড়া সালমান খান কেও ক্যামন অচেনা লাগে।

বাপ্পি লাহিড়িকে তো পুরুষদের জুয়েলারির স্টাইল আইকন বলা যায়।

শরীরী আল্পনাতেও পিছিয়ে নেই ছেলেরা। ট্যাটুর আলপনা নয়, এ আলপনা সূচ ফোড়ানো সৌন্দর্যের ।
গানশট বা নিডলে মুহুর্তের মধ্যে শরীরের কিছু অংশ সেজে উঠছে জুয়েলারির সাজে। ছেলেরা বেশিরভাগ কানেই পিয়ার্সিং করান।


কেউ কেউ ভ্রূ , ঠোট , নাকেও পিয়ার্সিং করান। হার পেন্ডেন্ট ,আংটি, রিস্টব্যান্ড নিয়েও এক্সপেরিমেন্ট করছেন ছেলেরা। পুরুষত্বের সংজ্ঞাটাই বদলাচ্ছে। তাই পুরুষের সাজগোজেও যে পরিবর্তন আসবে এ আর আশর্চ কী!!

কিছু টিপসঃ

শার্ট বা শেরওয়ানির বোতাম নিয়ে প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ থাকে। ধরুন সকালে অফিসে গিয়ে বোর্ড মিটিং করতে হবে। আবার সন্ধ্যে বেলা পার্টিতে যেতে হবে। এক্সট্রা ড্রেস ক্যারি করবেন? কোনো প্রয়োজন নেই।

male fashion



শার্টের বোতামগুলোই এত স্টাইলিশ হবে যে সান্ধ্য পার্টিতে তা সহজেই নজর কাড়বে। সাহসী হওয়া যায় বেল্ট বাকল, টাই-পিন, ল্যাপেল -পিন,ব্রেস্লেট, রিস্টব্যান্ড এমনকি গলার প্যান্ডেন্ট নিয়েও

Leave a Comment

Item added to cart.
0 items - ৳ 0.00