এখনও যদি আপনার শরীরে মেদ না জমে থাকে তাহলে এখনই শরীরের ফিটনেস বজায় রাখার জন্য এবং মেদ ভুঁড়ির হাত থেকে বাঁচার জন্য নিচে একটি তাইকা দিলাম, সেটা ফলো করতে পারেন চাইলে।

প্রথমেই দেখে নিন কোন কোন খাবার গুলো আপনার প্রাত্যহিক খাবারের তালিকা থেকে একেবারে ছেঁটে ফেলতে হবে।
১) অধিক মিষ্টিযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে।
২) শরবত, কোকাকোলা , ফান্টা, ইত্যাদি কোমল পানীয়সহ সবরকম মিষ্টি , তেলে ভাজা খাবার, চর্বিযুক্ত মাংস, মাখন, চিনি সহ কফি বা চা একেবারেই পরিহার করা উচিত। শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাদ্য ক্যালরির প্রধান উৎস। সবসময় কম ক্যালরির খাদ্যে স্থুল ব্যাক্তির ওজন খুব দ্রুত কমে।
ওজন কমাতে পরিশ্রম ও নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি নিচের খাদ্য তালিকা অনুযায়ী খাবার গ্রহন করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে নিশ্চিত।
সকালঃ
দুধ ,চিনি ছাড়া চা বা কফি, দুটো লাল আটার রুটি বা ওটস। একবাটি সবজি সিদ্ধ, এক বাটি কাঁচা শশা।
মনে রাখবেন শশা ওজন কমাতে জাদুর মত কাজ করে।

দুপুরঃ
৫০ থেকে ৭০ গ্রাম চালের ভাত। মাছ বা মুরগীর ঝোল এক বাটি। এক বাটি সবজি ও শাক। শশার সালাদ। এক বাটি ডাল এবং ২৫০গ্রাম টক দই।

বিকেলঃ
দুধ চিনি ছাড়া চা বা কফি, মুড়ি বা বিস্কিট দুইটা।
রাতঃ
লাল আটার রুটি ৩টা , এক বাটি সবুজ তরকারি, এক বাটি ডাল, টক দই দিয়ে একবাটি সালাদ এবং মাখন তোলা দুধ।
প্রতিদিন এক গ্রাম করে প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহন করলে শরীরে প্রোটিনের অভাব থাকেনা। ৬০ কিলো ওজন বিশিষ্ট মেয়েদের খাদ্যে ৬০ গ্রাম পরিমান প্রোটিন থাকলেই চলে। প্রতি মাসে একবার ওজন মেপে নিবেন।

লক্ষ্য রাখতে হবে ওজন বাড়ার হার কম না বেশি। ওজন বৃদ্ধি অসুখের লক্ষণ। মেদ বা ভুঁড়ি এদের অতিরিক্ত ওজন কোনোটাই সুস্বাস্থ্যের লক্ষন নয়। বরং নানা অসুখের কারণ হয়ে দেখা দেয় একথা সবসময় মনে রাখবেন এবং স্বাস্থ্য সচেতন হবেন।