সালোয়ার কামিজ পরার সময় এই ভুল গুলো করবেন না

শাড়ির পরে যে পোশাক্টি আমাদের ক্লোজেট এ সবচেয়ে বেশি থাকে তা হল সালোয়ার কামিজ ।

এই পোশাক টি মা খালা থেকে শুরু করে সব মেয়েরা এমন কি দাদি নানিরাও পরেন বেশ। সালোয়ার কামিজ পাঞ্জাব থেকে এলো, না বাঙালিদের, রোগা দের জন্য ভালো লাগবে নাকি স্বাস্থ্যবান দের এসব কথার তর্ক বৃথা । কারন প্রায় সবার কাছেই সবচেয়ে নির্ঝঞ্জাট পোশাক হল সালোয়ার কামিজ।

এটি যে কেও যেকোনো বয়সে যেকোনো সময় পড়তে পারেন একটু ও বেমানান লাগবেনা। কিন্তু জানেন কি এই পোশাক পরার ও কিছু কায়দা কানুন আছে। আপনি যেমন পাতিওয়ালা সালোয়ারের সাথে হাটু পর্যন্ত কামিজ পরতে পারেন না, তেমনি খাদির কামিজের সঙ্গেও জর্জেটের পালাজ্জো চলবে না।

আজকে আমি এই লেখায় ৯টি ভুলের কথা বলব যেগুলো আমরা সালোয়ার কামিজ পরার ক্ষেত্রে মনের ভুলে করে ফেলি অনেক সময়।



ভারি কাপড় দিয়ে সালোয়ার না বানানো
এটা আমরা ভুল বশত অনেকেই করে থাকি। মোটা সুতির কাপড় ,খাদি ,লিলেন বা পলিয়েস্টার কাপড়েও অনেকেই সালোয়ার বানাতে দেই, কিন্তু সেটা একেবারেই করা উচিত নয়, কারণ মোটা কাপড়ে সালোয়ার আরো ফুলে থাকে, দেখতেও খারাপ দেখায়, পরতেও আরাম হয়না।

বরং তারচেয়ে ফুরফুরে পাতলা ধরনের কাপড় দিয়ে সালোয়ার বানান। এতে হাঁটাচলাতেও সুবিধে হবে আর দেখতেও ভাল লাগবে।

কম ঝুলের ওড়না না পরার চেষ্টা করবেন
রেডিমেড ওরনার একটা স্ট্যান্ডার্ড সাইজ আছে, সোয়া দুই মিটার, এই ঝুল হয়তো অনেক কেই মানিয়ে যায়, কিন্তু যারা লম্বা তাঁদের ভাল লাগে না।
তাই তাঁরা লম্বা ঝুলের ওড়না নিন। বাজার থেকে কেনার সময় ঝুল মেপে নেবেন অবশ্যই। দরকার হলে গায়ে দিয়ে দেখুন ঠিকাছে কি না।

ধুতির সালোয়ারের সাথে লম্বা ঝুলের জামা একদম নয়ঃ
অনেকেই ভুল্বশত এটা করে থাকেন, ধুতি প্যান্টের বাহারটাই তাতে ঢাকা পরে যায়। এই ধরনের প্যান্টের সঙ্গে হাঁটু পর্যন্ত লম্বা ঝুলের কামিজই যথেষ্ট। আর কামিজের ফিটিং যেন ভাল হয়। নইলে ফোলা ধুতি এবং ফোলা কামিজ মিলিয়ে একটু বাজে দেখাবে।




মনোক্র্যামেটিক লুক এড়িয়ে চলুন
কিছু কিছু সময়ে একই রংয়ের কামিজ ও সালোয়ার ভাল লাগলেও, সব সময় লাগে না। তা ছাড়া একই রংয়ের পোশাক আপনাকে দেখতে আরো খাট দেখাবে। তাই কনট্রাস্ট রং বাছুন বা নিদেনপক্ষে এক রং হলে গেলেও সালোয়ার কিংবা কামিজ, কোনও একটা প্রিন্টেড রাখুন।

ঢিলেঢালা ফিটিং এর কামিজ একেবারেই নাঃ
এটাও আমাদের অনেক গুলো কমন ভুলের একটি ভুল। আমাদের একটা ভুল ধারণা হচ্ছে একটু ঢিলেঢালা পোশাক পরলে দেখতে রোগা লাগবে, ব্যাপারটা কিন্তু তা একেবারেই নয়, বরং উল্টোটাই সত্য। খুব ঢিলেঢালা হলে একটু দেখতে তাঁবু তাঁবু লাগবে দেখতে।
তাই আরামদায়ক কাপড়ের ফিটিংস দিয়ে কামিজ পরুন। দেখতে বেশ ভালো লাগবে।



কামিজ এর কাধে পিন করার অপশন রাখুন এক্টু ফিটিং কামিজ গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকে বলে কাঁধ থেকেও সরে যায় না। কিন্তু একটু ঢিলে কামিজের যদি বেশি ব্যাক কাটিং হয়, তা হলেই কাঁধ থেকে বারবার পরে গিয়ে ব্রায়ের স্ট্র্যাপ বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সুতরাং, সেক্ষেত্রে ব্রায়ের স্ট্র্য়াপের সঙ্গে পিন করে নিন।

লাইনিং দেয়ার চেষ্টা করবেন
কিছু কিছু কামিজে লাইনিং দেয়া মাস্ট , যে কাপড়ে লাইনিং দেয়ার প্রয়োজন অবশ্যই লাইনিং দেবেন। এবং মনে করে কামিজের হাতাতেও লাইনিং দেবেন। নইলে বগলের ঘামে সেখান থেকে ফেঁসে যাবে সহজেই! পয়সা বাঁচাতে চাইলে কয়েকটা বেসিক রংয়ের আলাদা লাইনিং বানিয়ে রাখুন। তারপর সেগুলোই বিভিন্ন কামিজের সঙ্গে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পরুন।

খুব বেশি গয়নাগাটি পরবেন না
সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে কানে দুল এবং হাতে চুড়িই যথেষ্ট। গলায় চোকার, ঝোলা হার ইত্যাদি পরে জবরজং না সাজাই ভালো।

সঠিক ফুটওয়্যার পরুন
সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে পরতে পারেন নানা ধরনের স্টাইলিশ চটি, স্লিপার, স্টিলেটো, স্ট্র্যাপি হিলস কিংবা ওয়েজেস। কিন্তু বুট, পা ঢাকা জুতো, কনভার্স, স্লিকার্স, লোফার্স, অক্সফোর্ড হিল কিংবা বুট পরবেন না প্লিজ!




1 thought on “সালোয়ার কামিজ পরার সময় এই ভুল গুলো করবেন না”

Leave a Comment

Item added to cart.
0 items - ৳ 0.00