অনেক মেয়েদের হাতে বা পায়ে একটু বেশি এবং বড় লোম থাকে। অনেকের ঠোঁটের উপর গোঁফের রেখা দেখা যায়। এগুলো অনেকের নিজস্ব বৈশিষ্ঠ্য যা অনেকের পারিবারিকভাবে থাকে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নই। মেয়েদের বুকে বা স্তনে অল্প কয়েকটি বড় লোম থাকাও অস্বাভাবিক নয়।
কিছু অস্বাভাবিক অবস্থায় মেয়েদের শরীরে হটাত করে নানান পুরুষালি পরিবর্তন দেখা দেয়।
পুরুষের মত গোঁফ দাড়ি, পিঠে চুল গজায়। হাতে পায়ে পুরুষালি ঘন আর বড় কালো লোম গজায়। একে “হারসুটিজম” বলে।
মাথার চুল পুরুষদের মত পাতলা হয়ে টাক পরতে পারে। গালে ঘন দাড়ি গজানোর কারনে গালের চামড়া পুড়ুষদের মত শক্ত হয়ে যায় অনেক সময়।
মেয়েদের ভিতর নানান পুরুষালি পরিবর্তন দেখা দিতে পারে “ভিরিলিজম” এর কারনে। এতে শুধু পুরুষদের মত চুল, গোঁফ ,দাড়ি গজায় না ,শরীর ও পুরুষালি আর পেশিবহুল হয়ে পরে। স্তন ছোট হয়ে যায়। গলার স্বর ভারি হতে থাকে। যৌনাঙ্গ আর যৌন বৈশিষ্টেও কিছু পরিবর্তন আসে। পুরুষের প্রতি স্বাভাবিক আকর্ষন কমে যায়।
কারণঃ
- গঠনগতঃ
গঠনগত কারনে কিছু মেয়ের মধ্যে কিছুটা পুরুষালি ভাব থাকে। যদিও এদের মাসিক ঠিকমত হয়। বিয়ের পর স্বাভাবিক ভাবে সন্তান ও হয়। - মনস্তাত্ত্বিকঃ
দৃষ্টিভঙ্গি ,ব্যাবহার আর শরীরে বা মনে চেতনায় বা অবচেতন মনে নানা কারনে এসব মেয়েরা নারীসুলভ বৈষিষ্ট্যগুলো মেনে নিতে পারেনা অথবা চেপে রাখতে হয়। - স্ত্রী হরমোনের অভাবঃ
কনো কারনে শরীরে স্ত্রী হরমোন ইস্ট্রোজেনের অভাব হলে এরকম হতে পারে। - পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি
কোনো রোগের চিকিৎসায় এন্ড্রোজেন বা কিছু স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ সেবন করলে।এড্রেনাল গ্রন্থির টিউমার ও ডিম্বাশয়ের কিছু টিউমার এবং মস্তিষ্কের কিছু রোগে এন্ড্রোজেনের মাত্রা বেড়ে গেলেও এরকম হতে পারে।
চিকিৎসাঃ
চিকিৎসার জন্য প্রথমে কারণ খুঁজে বের করতে হবে। চিকিৎসা হতে পারে তিন ধরণের-
* অস্ত্রোপচারঃ ডিম্বাশয়ের টিউমার ধরা পরলে তা বাদ দেয়া। এড্রেনাল গ্রন্থির টিউমার হলে আংশিকভাবে অই গ্রন্থিকে বাদ দেয়া।
* হরমোনঃ অ্যান্টি -এন্ড্রোজেন বা করটিসন দিয়ে চিকিৎসা করলে কিছু ক্ষেত্রে ভালো কাজ হয়।
* কসমেটিকঃ সৌন্দর্যচর্চার জন্য অয়াক্সিং, ইলেক্ট্রোলাইসিস, হেয়ার রিমুভার , লেজার চিকিৎসা নেয়া যায়। তবে এসব চিকিৎসা অবশ্যই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নিতে হবে। কিছুতেই তথাকথিত রুপবিশেষজ্ঞের পরামর্শে নয়।