গোলগাল চেহারার হলেও এই ৬টি ব্লাউজ এর ডিজাইনে আপনাকে অনেক স্লিম দেখাবে

শাড়ি পরতে আমরা মেয়েরা মোটামুটি সবাই ভালোবাসি, পছন্দের কালারের আর নকশার শাড়ি বেছে নিয়ে পরে ফেল্লেই হল এমনটা যদি হত, কতই না ভালো হত। আসলে শাড়ি পরতে নিয়ে আমরা অনেক সময় অনেক হ্যাপা মনে করি। ঠিকঠাক পেটিকোট মিলিয়ে নেয়া, ব্লাউজ বানানো কত ঝামেলা, তার উপর গোলগাল শেপ এর চেহারা হলে তো কথাই নেই, মনে হয় আরো মোটা দেখাচ্ছে।



আসলে এরকম টা নয়, আপনি যদি সঠিক নিয়মে শাড়ি পরেন আর ব্লাউজের কাটিং এ কিছুটা কৌঁসুলি হোন, তবে রাউন্ড শেপ হলেও আপনাকে অনেক স্লিম দেখাবে। আসুন জেনে নি ই ব্লাউজ এর এই ধরনের কয়েকটি ডিজাইন, যেগুলো আপ্নিও ট্রাই করতে পারেন।



1)গলার দিকে সুন্দর নকশাঃ

যদি মনে হয় আপনার খানিক টা বাড়তি মেদ বুঝা যাচ্ছে, তবে গলার দিকে একটু নকশা করে ব্লাউজ বানান, মিলিয়ে হাতায় ও করতে পারেন, এমব্রয়ডারি ও করে নিতে পারেন, বা এপ্লিকের মত করে কাপড়ের ও নকশা করে লাগাতে পারেন।



হেভি কাজ করা বোট নেক ও দিতে পারেন এতে সবার নজর সেদিকেই থাকবে। কলার দেয়া ব্লাউজ ও পরতে পারেন, কিন্তু যদি আপনার কাধ চওড়া হয় তবে কলার পরিহার করুন।

2)শাড়ি যদি সুতির হয়ঃ

সুতির শাড়িতে মাড় দেয়া থাকলে সেটা ম্যানেজ করতে একটু অসুবিধায় পরতে হয়, তাই শাড়ি যদি হয় সুতির চেষ্টা করবেন মাড় ছাড়িয়ে নিতে, নতুবা শাড়ির আঁচল এর অংশ হাতের উপর ছেড়ে দিন, কুচি করে পরার দরকার নেই, সংগে থ্রী কোয়ার্টার ব্লাউজ পরে নিন। ব্যাস!!
তবে শাড়ি যেমন ই হোক, ব্লাউজ এর ফিটিংস যাতে পারফেক্ট হয়।

3) ফুল স্লিভ ব্লাউজ

ফুল স্লিভ ব্লাউজে যে কাওকেই বেশ স্লিম দেখায়। বোট নেক বা ভি কলারে বা যেকোনো কলার দিয়ে ফুল স্লিভ হাতা দিয়ে ব্লাউজ বানান, হাতাটা কুচি দিয়েও বা বোতাম দিয়েও বানাতে পারেন, বেশ স্লিম ট্রিম লুক আসে এতে।

4) সেমি পাফ হাতা ব্লাউজঃ

যদি ফুল স্লিভ এ আপনার কোনো অসুবিধে থাকে, তবে অন্য উপায় ও আছে, আপনি যদি পাফ হাতার ব্লাউজের প্রতি বিশেষ দুর্বল হয়ে থাকেন তবুও না পরলেই ভালো, কারন পাফি ব্লাউজ একটু বেশি ফোলা ভাব থাকায় আরো বেশি মোটা লাগে দেখতে, তার চেয়ে যদি পরতেই হয় সেমি পাফ ব্লাউজ পরতে পারেন, খুব হাল্কা উচু করে কুচি থাকে বলে কোনো সমস্যা হয়না, বরং বেশ ভালো লাগে দেখতে।

5)কাজ ছাড়া ব্লাউজের হাতাঃ

ব্লাউজের হাতায় বেশি কাজ যেমন বেশি হাতার কাজ বা চুমকি, স্টন বা এপ্লিক টাইপের কাজ বেশি থাকবে তত বেশি মোটা দেখায়, তাই একেবারে কম কাজ বা কাজ করা ছাড়াই ব্লাউজ পরলে ভালো হয়। কোনো প্রোগ্রামে যদি সিল্ক বা একটু ভারি কাজের শাড়ি হয় তবে বেশি কাজ করা স্লিভ এর ব্লাউজ না পড়ে সিল্কের বা ব্রোকেড এর ব্লাউজ নির্বাচন করুন। সুতির শাড়ি হলে ব্লক বা জ্যামিতিক স্টাইলের নকশা চুজ করতে পারেন। স্লিভ্লেস পরতে চাইলে কেপ স্টাইল পরতে পারেন।

6)গলায় ডীপ কাটঃ

শুধু স্লিম দেখানো ছাড়াও একটু বেশি অন্য ধরনের আকর্ষনিয় লুক আনতে চাইলে গলায় একটু ডীপ কাট দিয়ে বানান। পিছনের দিকে ডীপ কাটিং এ আপনাকে যেমন সেক্সি লাগবে তেমনি আরো বেশি ভিন্ন ধরনের লুক আসবে। ডীপ নেক গলার কাট এ ব্লাউজের হাতা খুব বেশি বড় দিবেন না।

আসলে গোলগাল চেহারা হোক বা লম্বা, সবাই ই চাই শাড়িতে তাকে আরেকটু স্লিম আর সুন্দর দেখাক। গোল মুখের যারা তাদের একটু ট্রিকি হয়ে ব্লাউজ বানালেই অনেক বেশি আকর্ষনীয় আর স্লিম দেখায়।

লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন 🙂

Leave a Comment

Item added to cart.
0 items - ৳ 0.00