প্রতিটি মানুষই জন্মগত ভাবে সুন্দর, প্রতিটা মানুষের স্টাইল ই খুব ই অবিশ্বাস্যভাবে একেবারেই আলাদা আলাদা, প্রত্যেক মানুষের স্টাইল তার একেবারেই ব্যাক্তিগত। এই স্টাইল তার এক্সপ্রেশন আর মুড দিয়ে সরাসরি প্রকাশ পায়।
কিছু কিছু মানুষের একেবারেই একটা সিগ্নেচার স্টাইল থাকে। আকর্ষনিয় হয়ে উঠার জন্য প্রতিদিন একটু একটু করে চর্চা করতে হয়, কিছু কিছু ব্যাপারে খেয়াল ও রাখতে হয়। শুধু শারিরীক না, মানসিক ভাবেও নিজের পরিচর্যা দরকার অত্যধিক আকর্ষনীয় হয়ে উঠতে।
নিজেকে একটু পরিবর্তন করতে চাইলে বা নিজের লুক টা কে একটু চেঞ্জ করতে চাইলে নিজের ব্যাক্তিত্বের কোনো পরিবর্তন না করে কোন কোন জিনিসের উপর জোর দিলে আরো বেশি অপরুপা হওয়া যায় সে বিষয়ে আজ কিছু লেখা শেয়ার করব।
দিনে দিনে নিজেকে আরো আকর্ষনীয় করে তুলে নিচের এই টিপস গুলো ফলো করতে পারেনঃ
১) পুরোনো জামা কাপড় পরিস্কার রাখাঃ
প্রতিদিন নিত্য নতুন জামা কাপড় না কিনে পুরোনো যে কাপড় গুলো আলমারিতে আছে, যেগুলো আপনাকে বেশ ভালো লাগে পরলে, আপনার ব্যাক্তিত্বের সাথে যায় এরকম কয়েক সেট জামা কাপড় ধুয়ে পরিপাটি করে রাখুন।
অন্য যেসব আপনাকে ভালো লাগেনা হুজুগে কিনেছেন, সব ডিক্লাটার করে দিন, বা এক্সচেঞ্জ করুন ( এরকম কিছু কিছু সাইট আছে এক্সচেঞ্জ বা সেল করে পুরোনো কাপড়)
নিজেকে একেবারে নতুন করে সাজানো মানে নিজের অতিতের সবকিছু ছুড়ে ফেলে দেয়া নয়, পরিবেশ এর সঙ্গে মানান সই পোশাক আশাক চুজ করবেন।
নিজের অতিতের সব ধরনের আচার আচরন বৈশিষ্ঠ্য সব কিছুর পরিবর্তন এর প্রয়োজন নেই, বরং পরিপাটি করে ফেলুন আগের যেটা যেটা আপনাকে মানিয়ে যায়।
পরিপাটি মানেই আসলে আকর্ষনীয়।
২) বাজেট এর হিসাব ও রাখুন
নিজেকে চেঞ্জ করে ফেলা মানে একেবারে সব কিছু ফেলে দিয়ে এক গাদা নতুন জিনিস কেনা নয়। বরং আগে থেকে বাজেট পুর্ব নির্ধারন করে নিন কতর মধ্যে কি কি নিবেন। অনেকগুলো কম দামি জিনিস না কিনে, আপনার বাজেট এর মধ্যেই কম কিনবেন কিন্তু অবশ্যই ভালো দেখে কিনবেন।
যদি বেস্ট জিনিস্টা বেশি কেনার আয়োত্ত্বের মধ্যে না থাকে, আরো সময় নিয়ে বাজেট বাড়িয়ে পরে নেবেন।
আসলে আপনাকে অবশ্যই বাসবিক হতে হবে। অপ্রয়োজনীয় এক গাদা জিনিস না কিনে, ভালো মানের প্রয়োজনীয় অল্প কিছু কিনবেন। সস্তার জন্য যেটা কাজে লাগবেনা এমন জিনিস কিনবেন না।

নতুন কিছু কেনার প্রতি আগ্রহ থাকা ভালো। এতে নিজেকে জন্য সবচেয়ে নিঁখুত পণ্যটি কেনাসুবিধা হয়। ভালোমানের মানানসই পোশাক আশাক কেনা সবসময় সহজ নয়।এতে অনেক সময় নষ্ট হয় এবং প্রচুর ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়। আবার
এটা মনে করার কোন কারন নেই যে ভালোমানের পণ্য মানেই দামি কিছু। স্বল্প দামেও আপনি বা আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই পোশাক কিনতে পারেন।
** আপনার পুরোনো একটি পোশাকের সাথে সাজসজ্জায় একটি নতুন কিছু যোগ করতে পারেন।যেমন :একটি মানানসই রোদ চশমা বা চুলের কাট পরিবর্তন করতে পারেন।
৩)ক্লোজেট বা আলমারির পোশাক সম্বন্ধে সম্যক ধারণা
আপনার আলমারিতে ঠিক কি কি আছে কোন কোন কালার আছে, কোন ধরনের পোশাক আশাক আছে সে বিষয়ে সম্যক ধারণা থাকতে হবে। তাহলে বেরুতে গেলে বা তৈরি হতে গেলে বেশি বেগ পেতে হয়না। দেখা যাবে অনেক পোশাক আছে ভাজে ভাজে রয়েই গেছে পরাও হয়না। সেগুলো যেটা এখনো আপনাকে মানান্সই মনে হবে সেগুলো নতুন করে পরুন।
আপনার দৈনন্দিন জীবন যাপন হবে পরিবেশ , সমাজ , অফিস বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ন হতে হবে।
সেই পোশাক নির্বাচন করা উচিত যা আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই এবং যা পরলে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
৪) বেসিক কিছু রঙের হলে ভালো পোশাকের রঙ
পোশাক আশাকের রঙ এমন ভাবে নির্বাচন করবেন না যাতে তা আপনাকে পরিবেশের সাথে বেমানান দেখায়। যেমন: সবুজ,কালো,ধূসর,বাদামী,সাদা,নেভীব্লু এসব রংয়ের পোশাক সব পরিবেশের সাথে মানানসই।
৫) পোশাকের সঙ্গে এক্সেসরিজঃ
পোশাক এর অনুষঙ্গ তে জোর দিতে হবে । যখন পোশাক বাছাই করবেন তখন সাথে মিলিয়ে আনুষাঙ্গিক গয়না, ঘড়ি, রোদচশমা, ব্যাগ,জুতা,টুপি ইত্যাদি আপনার মাঝে একটি দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এগুলো আপনাকে আকর্ষণীয় করে তোলে।আপনার ব্যক্তিগত সৌন্দর্য প্রকাশ পায় আপনার আনুষাঙ্গিক ব্যবহৃত জিনিসপত্র দ্বারা।
৭)পোশাকের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মেকআপঃ
আপনার পোশাক ও চুলের সঙ্গে আাপনার মেকাপ এর বিষয়ও খুব গুরুত্বপূর্ণ।পোশাকের ভিন্নতার সঙ্গে সাজেও ভিন্নতা আনা জরুরি। সব ধরনের সাজ সব পরিবেশে মানানসই নয়।
নিজেকে আকর্ষনীয়, সুন্দর ও স্মার্ট দেখানোর জন্য নতুন পোশাক বা দামি পোশাকের প্রয়োজন নেই।
উপরের নিয়মগুলো অনুসরণ করলে নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখবে, আপনি সবার চোখে হয়ে উঠবেন অনন্য।
খাদ্যাভাস ও ব্যায়াম
পরিশেষে নিজেকে সুন্দর রাখার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যাভাস পরিমিত হওয়া জরুরী। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আর নিয়মিত যোগব্যায়ামে দিনে দিনে আরো আকর্ষনীয় হয়ে উঠতে পারবেন।
অনেক উপকারী একটি লেখা।
আমি আপনার লেখা থেকে অনেক কিছুই নোট করে নিয়েছি।
ভবিষ্যতে আপনি আপনার লেখা চালিয়ে যাবেন এই কামনা করছি।
এমন একটি উপকারী লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!