আসল জামদানি চেনার উপায়/ এই লেখাটি পড়ার পর আর কখনো জামদানি কিনে ঠকছেন মনে হবেনা

বিভিন্ন জায়গায় , বিভিন্ন ব্লগে, ফেসবুকে, আমার অন্যান্য গ্রুপেও আমি প্রতিটা কাস্টমার কে বুঝিয়ে দেই, বলে দেই কিভাবে বুঝবেন আসল জামদানি কোনটা, কোনো জায়গা থেকে জামদানি কেনার সময় কিভাবে বুঝবেন ঠকছেন না।
আজ ভাব্লাম নিজের সাইটে এই বিষয়ে না লিখলেই নয়। আশা করছি এর পর থেকে আর মনে হবেনা জামদানি কি নে ঠকেছেন ।

আমার এই লেখাটা লেখার কারণ হচ্ছে, আমার মনে হয়েছে এখনো অনেকেই ভালো ভাবে অরিজিনাল জামদানি ঠিক চিনতে পারেন না, তাই অনেক টাকা খরচ করলেও ঠকে যাচ্ছেন, তাই যদি কারো উপকারে আসে, এজন্যই এই লেখা।

আসল আর নকল জামদানির বিভেদ টা আসলে হয়েছে একটি বিশাল ফারাকের মধ্যে, আসল টা হাতে তৈরি হয়, আর জামদানির নকশায় মেশিনে যেটা বানায় সেটা কে নকল জামদানি বলে অভিহিত করছি।
# জামদানি মানেই হচ্ছে ১০০% হাতে বোনা হতে হবে, মিল বা ফ্যাক্টরির যেগুলো … মেশিনে বানায় সেগুলো ১ সপ্তাহে ৮-১০টা বানাতে পারে, যেখানে অরিজিনাল মোটামুটি মানের একটা জামদানি বানাতে দেড় থেকে দুই মাস লাগে।

# আবার অনেক জামদানি এখন নাইলন এর ও তৈরি হচ্ছে সেগুলো ওহাতে বোনে, কিন্তু রেশমের বলে চালিয়ে দিচ্ছে।
**এখন বলি কিভাবে চট করে বুঝবেন কোনটা আসল আর কোনটা নকল জামদানি,
যেকোনো একটা নকল জামদানি বা আসল জামদানির মেইন অংশ মানে সাম্নের দিকের অংশ দেখলে বুঝবেন না ,
জামদানি চিনতে হলে শাড়ি উলটা করে ধরবেন, দেখবেন যে শাড়ির নকশার কাজ একেবারে সাম্নের অংশের মত নিখুত, সামনে পিছনে আলাদা করা যায়না, নকশার সুতা এক্টার সাথে আরেকটা জয়েন্ট্‌ উপরে নিচে, উপরে নিচে, মানে একই সুতা দিয়ে নিখুত ভাবে নকশার ফুল করা হয়েছে। কোনোনকশার সুতা বের হয়ে আসছেনা।

*অপরদিকে নকল জামদানি বা সামদানি গুলোর উলটা পিঠ দেখলে বুঝবেন কত অমসৃণ আর সুতা কাটা কাটা।
### এটাতো বুঝলেন পাওয়ার লুম আর হ্যান্ড লুম জামদানির পার্থক্য, এখন বলচি কিভাবে নাইলনের জামদানি চিনবেন, খুব দক্ষ না হলে এটা চেনা টাফ,

শাড়ির একেবারে শেষ মাথার সুতা দেখবেন খুব মোলায়েম বা মসৃণ , সেটা হচ্ছে নাইলন, রেশমের সুতা খুব ফিনফিনে মোলায়েম বা মসৃণ হয়না, একটা সুতা টান দিবেন যদি ছিড়ে যায় তবে রেশম, যেটা কুচকে যায় সেটা নাইলন।
কেন আসলে জামদানি কিনবেন?
এই নাইলন বা মেশিনে বোনা জামদানি একবার বা দুবার পরার পরেই নেতিয়ে যায়, কুচকে যায়, মানে কোনো ভাবেই লং লস্টিং না। পরেও আরাম পাবেন না।


আর অরিজিনাল জামদানি ২০/৩০ বছর পরেও এমনকি ৫০ বছরেও অনেক সময় ভালো থাকে, ফেড হলে বা সামান্য ফেসে গেলেও কাটা বা পলিশ করলে আজীবন একই ধরনের থাকবে।

মিনিমাম ৩ জেনারেশন এই আসল ঢাকাই জামদানি পরতে পারবেন।
তাই একটু বেশি দাম দিয়ে হলেও অরিজিনাল টাই কিনুন।

জামদানি সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে আমাদের ফেসবুক পেজ এ নক দিয়েন, বা এখানে লিখুন।

আমি সব সময়ের মত থাকবো আপনাদের জন্য 🙂



2 thoughts on “আসল জামদানি চেনার উপায়/ এই লেখাটি পড়ার পর আর কখনো জামদানি কিনে ঠকছেন মনে হবেনা”

  1. আমাকে কিছু আসল জামদানী থ্রিপিস সংগ্রহ করে দিতে পারবেন।

    Reply

Leave a Comment

Item added to cart.
0 items - ৳ 0.00